স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
নাজমা বেগমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রাথমিক জব্দ তালিকায় এমন কথাই লেখা আছে। তবে একই অভিযানে প্রতিবেশির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মামলায় নাজমা বেগমকে আসামী করা হয়েছে।
নাজমা বেগমের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ি টাকা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার দুর্গাপুরের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নাজমা বেগম বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় নিজ বাড়িতে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনেন।
নাজমা বেগমের পক্ষে তার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে নাহিদা ইসলাম মিতু সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় নাহিদা একটি প্রাথমিক জব্দ তালিকা দেখিয়ে বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে এ জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়। এতে তাদের ঘরে তল্লাশি করে যে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি সেটি উল্লেখ করা হয়। এতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরেরও স্বাক্ষর নেয়া হয়।’
নাহিদা ইসলাম জানান, গত ২৪ আগস্ট চার-পাঁচ জন অপরিচিত লোক তাদের বাড়িতে এসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত পরিচয় দিয়ে অভিযান চালান। তাদের ঘরে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকায় বিস্তারিত উল্লেখ করেন। যাওয়ার সময় অভিযানকারিদের মধ্যে হুমায়ুন কবির নামে একজন মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে এক লাখ টাকা নিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। অন্যথায় মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখায়। ২৫ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়মন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহকারি পরিচালক মু. মিজানুর রহমানের দায়ের করা এক মামলায় তার মা নাজমা বেগমকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতিবেশি কালন মিয়ার কাছে যে ৪০০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে এর সঙ্গে নাজমা বেগম জড়িত।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মু. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা কারো শত্রু নই। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে অভিযান চালাই। নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক পাওয়া যায়নি এটা সত্য। তবে প্রতিবেশি কালন মিয়ার কাছ থেকে যে ইয়াবা পাওয়া যায় এর মূল মালিক ওই নাজমা বেগম ও টুনি নামে আরেক নারী।
নাজমা ও টুনি সম্পর্কে আপনারা (সাংবাদিকরা) খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন ওরা যে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। ওনি টাকার যে অভিযোগটা করেছেন সেটা মিথ্যা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply